১) সকল নাগরিকের স্মার্ট এনআইডি কার্ড থাকতে হবে।
২) ভোটার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সামনে আঙ্গুলের ছাপ বায়োমেট্রিক স্ক্যানারে প্রবেশ করাবেন। অতঃপর সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এনআইডি কার্ডটি মেশিনে পাঞ্চ করাবেন অথবা এনআইডি নম্বর সিস্টেম এ ইনপুট দিবেন । এনআইডি নম্বরের সহিত হাতের ছাপ মিললেই কেবল সিস্টেমে ঢুকতে পারবেন। অতঃপর ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে এলসিডি স্কিনে প্রদর্শিত প্রতীকের উপর আঙ্গুলের চাপ দিয়ে ভোট দিবেন। ভোট কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসার পর পোলিং অফিসারগণ তার হাতে অমোচনীয় কালি লাগাবেন (এটা অত্যাবশ্যকীয় নয়, কারণ একই ব্যক্তি আবার ভোট দিতে আসলে তা সিস্টেমে ধরা পড়বে)। ১৮ বছরের নিচে কেহই আসিলেও তাহা সিস্টেমে ধরা পড়িবে। কারণ এনআইডি সার্ভারে তাহার তথ্য ঢুকানো রয়েছে।
৩) ভোট কেন্দ্রে যাওয়া ব্যতীত কেহ ইচ্ছা করিলে ঘরে বসে মোবাইল/ট্যাব/ল্যাপটপ/কম্পিউটার এবং বায়োমেট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে ভোট দিতে পারবেন। এজন্য প্রথমে আঙ্গুলের ছাপ বায়োমেট্রিক ডিভাইসে (যাহা মোবাইল/ট্যাব/ল্যাপটপ/কম্পিউটার এর সাথে সংযুক্ত এবং যাহা এনআইডি সার্ভারের সাথে যুক্ত হতে সক্ষম) প্রবেশ করাবেন ও তাহার এনআইডি নম্বর ইনপুট দিবেন। এনআইডি নম্বরের সহিত হাতের ছাপ মিললেই কেবল তিনি সিস্টেমে ঢুকতে পারবেন। ঢোকার পর ভোট কেন্দ্র সিলেক্ট করার পর মনিটরে প্রদর্শিত প্রতীকের উপর কম্পিউটারের মাউসের সাহায্যে ভোট দিবেন।
৪) কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে এলসিডি স্কিনে ঐ ভোট কেন্দ্রে এসে কতজন ভোট দিলেন, বাইরে থেকে মোবাইল/ট্যাব/ল্যাপটপ/কম্পিউটার ব্যবহার করে কতজন ভোট দিলেন, কে কে অনুপস্থিত বা ভোট দেয়নি তাহাও প্রদর্শন করা সম্ভব হবে।
৫) জাতীয় নির্বাচন ব্যতীত অন্যান্য লোকাল বা সমিতির নির্বাচনেও উক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। এইরূপ নির্বাচনে শুধুমাত্র সিলেক্টেড ভোটারদেরই খালি Access থাকবে। সেজন্য সিস্টেমে প্রথমে ভোটারদের এনআইডি আগেই সিলেক্ট করে দিতে হবে। এর বাইরের কেহ ভোট দিতে চেষ্টা করলে সিস্টেমে Access Denied দেখাবে।
৬) শ’দুয়েক সিলেক্টেড প্রতীক থাকবে, যাহা সকল ধরনের নির্বাচনে ব্যবহার করা যাবে।
সুবিধা সমূহঃ
১) সরকার বা যারা নির্বাচন পরিচালনা করছেন তাহাদের নির্বাচনী ব্যয় অনেক কমে আসবে।
২) কেন্দ্র দখল, ব্যালট/ব্যালট বাক্স ছিনতাই, নির্বাচন পূর্ববর্তী বা পরবর্তী সহিংসতা কমে আসবে।
৩) ব্যালট পেপার ও নির্বাচনী আনুসংগিক কাগজপত্র যেহেতু ছাপানো লাগবে না, সেহেতু কাগজ ও প্রিন্টিং খরচ বাঁচবে, গাছ কম কাটা পড়বে, পরিবেশ দূষণ কম হবে।
৪) নির্বাচনী সচ্ছতা প্রশ্নের মুখে পড়বে না।
৫) যেহেতু ভোটের সব তথ্য সিস্টেমে Save থাকবে তাই সব পরিসংখ্যানগত Analysis, Software এর মাধ্যমে সহজেই বের করা যাবে।
অসুবিধা সমূহঃ
১) সার্ভারটিকে রক্ষনাবেক্ষন করতে হবে। যেখানে সার্ভার থাকবে সেই এলাকাকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
২) ম্যালওয়্যার, ভাইরাস, হ্যাকিং থেকে এনআইডি সার্ভার ও সিস্টেমকে রক্ষা করতে হবে।
লিখেছেনঃ মোঃ সারোয়ার জাহান সুজন
ই-মেইলঃ [email protected]
ওয়েব সাইট: www.sujanbasicneeds.weebly.com
পাঠকের মতামত: